মোঃ মিজানুর রহমান (নীলফামারী) :
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ২৮ তারিখের ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে এক নারীসহ ৩ জন
আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৯ টায় মাগুড়া ইউনিয়নের চেকপোষ্ট ও বাসষ্ট্যান্ড নামক স্থানে এ ঘটনা ঘটে। আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্স ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলেন, ওই ইউনিয়নের পাটোয়ারীপাড়া গ্রামের আলম হোসেন (৫০), দর্জিপাড়া গ্রামের রাকিবুল ইসলাম (৪০) ও খামাতপাড়া গ্রামের
বিধবা শরিফা বেগম (৩৫)। জানা যায়, লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মিঠুর পক্ষে ভোট প্রার্থনার জন্য
তার কর্মী-সমর্থকরা মাগুড়া খামাত পাড়ায় যান। ওই পাড়ায় সিহাবের চশমা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসের সামনে কয়েকজন শিশু চশমা-
চশমা স্লোগান দেন। এসময় দুই শিশুকে চড়-থাপ্পর ও শরিফা বেগমকে মারধর করায় চশমার পক্ষের লোকজন লাঙ্গল প্রতীকের কর্মীদের ধাওয়া করে।
এতে আলম হোসনে এগিয়ে গেলে আহত হয়। পরে লাঙ্গলের লোকজন চেকপোষ্টে কাপড়ের দোকানের ভিতরে ঢুকে রাকিবুলকে মারধর করে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় লাঙ্গল প্রার্থীর প্রায় পাঁচশতাধিক কর্মী-সমর্থক মাগুড়া চেকপোষ্টে ও চশমা প্রার্থীর লোকজন
বাসষ্ট্যান্ডে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। থানা পুলিশের দুটি ভ্যান দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় প্রার্থীর লোকজকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এর আগের রাতের সংহিসতায় মাগুড়া উত্তরপাড়া গ্রামের লাল মিয়া (৫৫) আহত হয়ে রংপুর হাসাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল আউয়াল জানান, অন্য কোন ইউনিয়নে নির্বাচনি সমস্যা নেই। শুধু মাগুড়া ইউনিয়নে প্রায় ছোট্ট-খাটো ঘটনা ঘটছে। এজন্য উভয় প্রার্থীকে একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে। নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে পুলিশ সর্বদা তৎপর রয়েছে।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।